Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:23 pm

ইয়াবা বিক্রি করে অবৈধ সম্পদ অর্জন

নজরুল ইসলাম: এক ইয়াবা বিক্রেতার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এক কোটি তিন লাখ ৯৭ হাজার ৫২৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন এবং ভোগদখল করছেন। তার নাম নুরুল হোছাইন। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার অলিয়াবাদের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, দুদকে তার বিরুদ্ধে ইয়াবা বিক্রির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। সেটির অনুসন্ধান শেষে মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ১৫ নভেম্বর মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয় দুদক কমিশন। গতকাল দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।

নুরুল হোছাইন সম্পদ বিবরণীতে তার ও স্ত্রীর নামে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দিয়েছেন। যাচাইকালে তাদের নামে ৯৫ লাখ সাত হাজার ২৬৩ টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়েছে দুদক। এখানে তিনি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৩ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে দুজনের নামে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেন। যাচাই শেষে তাদের নামে ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬২ টাকার

অস্থাবর সম্পদ পেয়েছে দুদক। এখানেও তিনি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬২ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। সেই হিসেবে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে এক কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ টাকা। অর্থাৎ তিনি এক কোটি তিন লাখ ৯৭ হাজার ৫২৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। এটি দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নুরুল হোছাইন এক কোটি ২০ লাখ ৬৭ হাজার ২২৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন এবং এক লাখ ৯০ হাজার টাকার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন। ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ এক কোটি ২২ লাখ ৫৭ হাজার ২২৫ টাকা। আসামি নুরুল হোছাইনের ৩০ লাখ এক হাজার ৬২ টাকার বৈধ উৎস পেয়েছে দুদক। সেই হিসেবে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তদন্তকালে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হবে বলে এজাহারে বলা হয়েছে।