Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:46 am

ইয়াস মোকাবিলায় তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। কভিড-১৯ সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সে সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোটায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার, সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। ফণী, বুলবুল, আম্পান মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানায়, কভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মাঝে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনোভাবে যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণ সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে  আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল। আম্পানের সময় কভিডের কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। এবারও ইয়াস মোকাবিলায় তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।