শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইয়েমেনে একটি মসজিদ ও মাদরাসায় হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন। হামলায় হতাহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার রাতে দেশটির মারিব প্রদেশে হামলার এ ঘটনা ঘটে। খবর: বিবিসি, আল জাজিরা।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের তথ্য মন্ত্রণালয় হামলার এ ঘটনা প্রকাশ করেছে।
এদিকে মারিব প্রদেশের গভর্নরের অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার রাতে চালানো ওই হামলায় দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়। তবে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা তাৎক্ষণিকভাবে এখনও এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। অবশ্য হামলায় নিহত ও আহতের সংখ্যা ঠিক কত, সেটি পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইয়েমেনের সরকারি বাহিনী ও হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা বেড়েছে। জাতিসংঘ বলছে, উভয়পক্ষের লড়াইয়ের কারণে গত সেপ্টেম্বরে কেব্ল মারিব প্রদেশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মারিব প্রদেশটি মূলত ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ শক্ত ঘাঁটি। সেখানে সংঘর্ষের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসহায় মানুষের সাহায্যের জন্য মানবিক সহায়তা করিডোর চালুর আহ্বানও জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সৌদি সমর্থনপুষ্ট সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তরাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশের পার্শ্ববর্তী আল-জাওবা এবং আল-কাসারা নামক দুটি জেলায় বিদ্রোহীদের অবস্থানে বিমান হামলার মাধ্যমে ২২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব হামলায় ৯৫ জন হুথি বিদ্রোহী নিহত এবং ১১টি সামরিক যান ধ্বংস হয়। ওই জেলা দুটি মারিব থেকে যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার এবং ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথিদের হামলায় সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এ প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
