শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়ায় গত সপ্তাহে স্থল অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দেশ দুটি থেকে তুরস্কের ভেতর রকেট হামলা ও রাজধানী ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের পর এরদোয়ানের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে। খবর: ডেইলি সাবাহ।
তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহ গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর ইরাক ও উত্তর সিরিয়ায় স্থল অভিযান চালাতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তুরস্কের সেনারা। এখন নির্দেশের অপেক্ষায় তারা। এছাড়া তার্কিস সেনাদের সহযোগিতায় সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলেও জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। এসএনএ তার্কিস সেনাদের সঙ্গে স্থল অভিযানে সরাসরি যোগ দেবে। পিকেকে ও
ওয়াইপিজের মতো কুর্দি সশস্ত্র দলগুলোকে হটিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এ অভিযান চালাবে তুরস্ক।
তুরস্কের সেনাদের প্রধান লক্ষ্য হলো মেনাঘ বিমান ঘাঁটি। আলেপ্পোর উত্তর দিকে অবস্থিত এ ঘাঁটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মারানজ ও তাল রিফাতও তাদের লক্ষ্যবস্তুতে রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মেনাঘ গ্রামে অবস্থিত এ ঘাঁটি। ওই বছর রাশিয়ার
বিমানবাহিনীর সহায়তায় এটি দখল করে তারা। যদিও এখন এটি ব্যবহার-অনুপযোগী হয়ে গেছে।
মেনাঘে কয়েক দিন ধরে বিমান ও স্থল হামলা চালাচ্ছে তুরস্কের সমর্থিত বাহিনীর সদস্যরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মেনাঘে দুই হাজার
বেসামরিক মানুষ বাস করতেন। বর্তমানে গ্রামটিতে কেউ বাস করেন না। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মেনাঘের এ বিমান ঘাঁটি প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে এখন রানওয়েসহ প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে।
তুরস্কের দাবি, তাল রিফাত, মারানজ ও মেনাঘ ঘাঁটি ব্যবহার করে সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পিকেকে ও ওয়াইপেজির মতো গোষ্ঠীগুলো। নিজেদের সীমান্ত নিরাপদ রাখতে সিরিয়ায় অভিযান চালানোর কথা বলছে তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট গত সপ্তাহে জানান, বর্তমানে তারা সিরিয়া ও ইরাকে যেসব বিমান হামলা চালাচ্ছেন এগুলো অভিযানের শুরু মাত্র। যখনই স্থল অভিযান চালানোর প্রয়োজনীয়তা মনে করবেন তারা, তখনই অভিযান শুরু হবে।