শেয়ার বিজ ডেস্ক: অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনা চলছে। এখানে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ইরানের আলোচনা চলছে। এর মাঝেই দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করল। খবর: আরব নিউজ।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মধ্য ইরানের একটি শহরের মাঠে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। দেশটির প্যারামিলিটারি রেভ্যুলশনারি গার্ড (আইআরসিজি) জানিয়েছে, দেজফুল, কিয়াম ও জুলফাগর নামের ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এগুলো নতুন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা এক হাজার কিলোমিটারের ওপর।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে একটি মাইলফলক চুক্তি সই হয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। কারণ হিসেবে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই চুক্তিতে ফাঁক রয়ে গেছে। সেখানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন বন্ধের কোনো কথা নেই। এরপরই ট্রাম্প ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত করেন। এ জন্য নতুন অবরোধসহ যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক চাপে ইরান বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান এ আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল ভিয়েনায় উপস্থিত থাকলেও সরাসরি ইরানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না।
আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে আসার পর ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বাড়াতে থাকে। তাই ইরানকে নতুন করে চুক্তিতে ফেরাতে আলোচনায় বসে পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলো।
এরই মধ্যে ইরান ‘ক্ষেপণাস্ত্র শহর’ গড়ে তুলেছে, যা সারা বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছে। ওই শহরের অবস্থান স্পষ্ট না করলেও সেখানে হাজারো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মজুতের বিষয়টি এখন সবার জানা। আইআরসিজি জানিয়েছে, নৌবাহিনীর কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণের ঘাঁটিগুলোর মধ্যে এটি একটি। সেখানে রাখা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এবং এর ধ্বংস ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি।