ইরানের হামলার পর তেলের দাম বেড়েছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাবে তেলের দাম বেড়েছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বাঁধার আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। এই শঙ্কা সত্যি হলে, আন্তর্জাতিক তেল বাণিজ্যের সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। খবর: বিবিসি।

আন্তর্জাতিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম একদিনে ব্যারেল প্রতি ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪ ডলারে ঠেকেছে। গত মঙ্গলবার লেনদেনের সময় এই দাম একলাফে ৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিপ নোভার সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেভা বলেন, তেল বাজারগুলো মূলত জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার গল্পের ওপর নির্ভর করছিল। তবু ইরান ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর, মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্যমতে, ইরান বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম ও তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেকের ৩য় বৃহত্তম সদস্যরাষ্ট্র। এই অঞ্চলের প্রধান তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্রটি গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে ১৮০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ অঞ্চলে কোনো সামরিক অস্থিরতা হরমুজ প্রণালি দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রায় ২০ শতাংশ কুয়েত ও ওমানের মাঝে অবস্থিত এই নৌপথ দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ অন্যান্য ওপেক সদস্যরাও এই প্রণালি দিয়েই তাদের অধিকাংশ বাণিজ্য সম্পন্ন করে থাকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, লেবানন ও গাজার যুদ্ধে ইরানের সরাসরি সম্পৃক্ততা তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ ‍শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।
এ বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০