শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইরানের কিশ দ্বীপে পরপর অন্তত তিনটি ভূমিকম্প হয়েছে। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৬ মিনিট থেকে ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত দফায় দফায় এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে কেঁপে ওঠে মধ্যপ্রাচ্য। খবর: খালিজ টাইমস।
এই ভূমিকম্পে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের বাহরাইন, সৌদি আরব, ইরান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও কেঁপে উঠে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র দেশটিতে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, গতকাল সকালের দিকে ইরানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালির কাছের কিশ দ্বীপে ৪ দশমিক ৭ মাত্রার দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর কিছুক্ষণ পর ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপটি। তবে এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পের ঘটনায় ইরান ও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় কোনো হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্বের যেসব এলাকায় বারবার এ ধরনের ভূমিকম্প হয়, ইরান তার একটি। ইরান সক্রিয় একটি ফল্ট লাইনের ওপর অবস্থিত। সাধারণভাবে বলা যায়, আরাবিয়া ও ইউরেশিয়া টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ। আরাবিয়া প্লেটটি প্রতি বছর কয়েক সেন্টিমিটার করে উত্তরে সরে যাচ্ছে। ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আরাবিয়া প্লেট ইউরেশিয়া প্লেটটিকে নিচ থেকে ধাক্কা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির উত্তর-পশ্চিমে এই দুটো প্লেট একে অন্যকে সরাসরি ধাক্কা দিচ্ছে। এসব সংঘর্ষ থেকেই সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জাগরস পর্বতমালার।
২০০৩ সালে ইরানের ঐতিহাসিক নগরী বামে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।
দেশটিতে ভূমিকম্পের মাত্রা, জনবসতির ঘনত্ব ও স্থানীয় বাড়িঘর কী ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করা হয়। এই মডেল থেকে হয়তো প্রকৃত হিসাব পাওয়া যায় না। কিন্তু এই দুর্যোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।