নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীরকে র্যাব সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দিয়েছে। ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পেতে র্যাব এখনও চেষ্টা করছে। নেত্র নিউজ র্যাবকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তা ভিত্তিহীন। গতকাল র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বনানীর রাস্তা থেকে ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলীকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যান। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ।
চলতি মাসের ১৭ এপ্রিল সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজ ইলিয়াস আলীর ‘গুম’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইলিয়াস আলীর গুমে র্যাব সম্পৃক্ত ছিল। এ ঘটনায় সুনির্দিষ্টভাবে তিন কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করে নেত্র নিউজ।
র্যাবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিষয়ে গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে খন্দকার আল মঈনকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি বলেন, ‘নেত্র নিউজের যে খবরটির কথা আপনারা বলেছেন, সেখানে যেভাবে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে, র্যাব মনে করে এটা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। দেখুন, র্যাব একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমাদের যত অভিযান, আমরা আইন মেনে পরিচালনা করি। এখানে যেসব তথ্য-উপাত্ত দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং আমরা বলব, ইলিয়াস আলীকে যখন থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না, ওনার স্ত্রী যখন আমাদের কাছে এসেছেন, আমরা তাকে সর্বোচ্চ আইনি সহযোগিতা দিয়েছি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর স্ত্রী যখন-যেখানে তার স্বামী থাকতে পারেন বলে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, তখনই র্যাব তাকে সহযোগিতা দিয়েছে। এখনও র্যাব তাকে সহযোগিতা করছে। কেউ কোনো তথ্য দিলে র্যাব এখনও সেখানে যাচ্ছে। কারণ এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। আমরাও চেষ্টা করেছি।’
ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজের’ এক দশক উপলক্ষে গত সোমবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি। ‘ইলিয়াস আলীসহ গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দাও’ শিরোনামের এই আলোচনা সভায় তাহসিনা রুশদীর বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকেরাই যে ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছেন, এটা নিশ্চিত। আর ঘটনার পর তাকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খুদেবার্তা পাঠিয়ে সাক্ষাতের আয়োজন এবং ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস ছিল লোক দেখানো। ওই সময় বিএনপির পাঁচ দিন হরতাল ছিল। বিএনপির সে হরতাল ও আন্দোলন বন্ধ করার জন্যই ছিল ওই আশ্বাস।