ইলেকট্রিক মোটর ঘোষণায় ‘নিডো দুধ’ আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমদানিকারকের ঘোষণা ছিল ইলেকট্রিক মোটর আমদানির। ইলেকট্রিক মোটরের আমদানি শুল্ককর প্রায় ২৬ শতাংশ। কিন্তু আমদানি হয়েছে নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ, যার শুল্ককর প্রায় ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ ঘোষণার চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি শুল্ককরের পণ্য আমদানি করেছে আমদানিকারক। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা এমন একটি পণ্যের চালান জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। গতকাল মঙ্গলবার হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা চালানটি জব্দ করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার মো. সাইফুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, আমদানিকারক রাজধানীর নওয়াবপুর পদ্মা সেফটি প্রোডাক্টস। প্রতিষ্ঠানটি দুবাই থেকে ইলেকট্রিক মোটর ঘোষণা দিয়ে ২০ টনের কনটেইনার আমদানি করে। ১৩ মার্চ কনটেইনারটি জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবতরণ করে। শিপিং এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের বিএস কার্গো এজেন্সি লিমিটেড। আমদানির ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। তথ্য থাকায় কাস্টম হাউস নজরদারি করে। আমদানিকারক কাস্টম হাউসের নজরদারি এড়িয়ে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় ছিল। পণ্য চালানের ধরনের সঙ্গে রপ্তানি বন্দর দুবাইয়ের অসামঞ্জস্য থাকায় চালানটির বিল অব লেডিং ব্লক করে নজরদারিতে রাখে এআইআর শাখার কর্মকর্তারা।

গতকাল দুপুরে কনটেইনারটি  বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ফোর্স কিপডাউন করে এআইআর শাখার কর্মকর্তারা শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন। কায়িক পরীক্ষায় কনটেইনারে ১৩ হাজার ৫৩০ কেজি নিডো ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ পাওয়া যায়। এ কনটেইনারের রাজস্ব ফাঁকির সুযোগ ছিল প্রায় ৫৫ লাখ টাকা। ঘোষিত ইলেকট্রিক মোটরের শুল্কহার হলো ২৬ দশমিক ২০ শতাংশ। আর গুঁড়ো দুধের শুল্কহার হলো ৮৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ মোটরের চেয়ে গুঁড়ো দুধের শুল্কহার প্রায় চার গুণ বেশি। কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সার্বক্ষণিক নজরদারি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে এ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পণ্য খালাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০