শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইলে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। এর মাধ্যমে অবসান ঘটেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুগের। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নাফতালি বেনেট। রোববার রাতে নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্ট। এরপর জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কট্টর ডানপন্থি ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট। খবর: জেরুজালেম পোস্ট, বিবিসি।
নেতানিয়াহুকে সরাতে বিরোধী দলগুলোর অভূতপূর্ব জোট গঠনে ঐকমত্যের পর এ সরকার গঠিত হয়েছে। ইসরাইলের পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর দল ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মাত্র একটি আসনের পার্থক্য রয়েছে। ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০ আসনের মধ্যে নেতানিয়াহুর পক্ষে পড়ে ৫৯ ভোট। আর নতুন জোট সরকার গড়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৬০টি ভোট।
এদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট দুই বছরের মধ্যে চারটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিভক্ত দেশকে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, তার সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো বিষয়গুলোকে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করবেন।
এদিকে ইসরাইলের নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের নতুন সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।’
জোটের শর্ত অনুযায়ী, ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী ইয়ামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর পরবর্তী দুই বছরের জন্য তিনি মধ্যপন্থি ইয়েস আতিদ পার্টির জাইর লাপিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
এর মাধ্যমে মূলত ইহুদি এ রাষ্ট্রটিতে টানা দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পরই গত মঙ্গলবার এক টুইটে ইয়েস আতিদ পার্টির জাইর লাপিদ টুইটারে দেয়া এক বার্তায় জানান, ‘ইসরাইল ও এর নাগরিকদের ভালোর জন্য ঐকমত্যের সরকার আসছে।’ অবশ্য নতুন সরকার যেন পার্লামেন্টের অনুমোদন না পায়, সেজন্য সব রকম চেষ্টা করলেও নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির নতুন জোটের সদস্যদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
এরপরই নতুন জোট সরকার গঠন নিশ্চিত জেনে নেতানিয়াহু বলেছেন, পার্লামেন্টে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। একইসঙ্গে সম্ভাব্য নতুন জোট সরকারকে ‘বিপজ্জনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
২০০৯ সাল থেকে টানা ১২ বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু গত কয়েক বছরে নানা কারণে ইসরাইলিদের কাছে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ইসরাইলে গত দুই বছরে মোট চারটি পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন কোনো দলই পায়নি।
