শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরাইলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান তৎপরতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএই। খবর: মিডল ইস্ট মনিটর।
মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। ইসরাইল সরকার গত দেড় মাসে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যেসব তৎপরতা চালিয়েছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমিরাত। এ কারণে ইসরাইলের কাছ থেকে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে আমিরাত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, ইসরাইল সরকারের কর্মকাণ্ড আমিরাতকে ক্ষুব্ধ করেছে। বিশেষ করে ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির নির্দেশে আল আকসা মসজিদে হামলা, ফিলিস্তিনের হুওয়ারা শহরে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা এবং গ্রামটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের আহ্বান জানানোর ঘটনায় আমিরাত ক্ষুব্ধ হয়েছে।
আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বলেছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন-এমনটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারব না।
তবে ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি আমিরাতে সফর স্থগিত করেন নেতানিয়াহু। এরপর ইসরাইলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানায় আরব আমিরাত।
নেতানিয়াহুর আমিরাত সফরের পরিবর্তিত তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ খবরটি অস্বীকার করা হয়েছে। একে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গঠনমূলক কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে।
গত বছরের জুনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরাইলের মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সম্পাদিত হয়। এর মধ্য দিয়ে আরব-ইসরাইল সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ একটি পরিবর্তন ঘটে। ইসরাইল ও উপসাগরীয় কোনো দেশের মধ্যে এটা প্রথম চুক্তি, যাতে কম শুল্কে, সহজ কর সুবিধায় ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয়। চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত বেড়েছে। ফলে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ৫০ বছর ধরে আরব আমিরাত যেভাবে ইসরাইলকে অস্পৃশ্য হিসেবে বিবেচনা করে এসেছে, সেই ধারা ভেঙে যায়।