Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 12:52 am

ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটরদের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল সিনেটর। এ লক্ষ্যে তারা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। খবর: আনাদোলু এজেন্সি।

গাজায় মানবিক কার্যক্রমে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার হস্তক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন সিনেটররা। যুক্তরাষ্ট্রের আটজন সিনেটর জো বাইডেনকে চিঠি পাঠিয়ে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্বাধীন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এবং সাতজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর বাইডেনকে ওই চিঠিটি পাঠান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মানবিক কার্যক্রমে ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের হস্তক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য নিরাপদ এবং সময়মতো দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছে। সিনেটররা জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক কার্যক্রমে নেতানিয়াহু সরকারের হস্তক্ষেপ মানবিক সহায়তা করিডোর আইনের লঙ্ঘন।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এই অধ্যায় বা অস্ত্র রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীনে কোনো দেশকে কোনোরকম সহায়তা করা যাবে না যখন প্রেসিডেন্টের কাছে জানানো হয়, কোনো দেশের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা পরিবহন বা বিতরণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিষিদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে বিধি-নিষেধ আরোপ করে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এই বাস্তবতার আলোকে আমরা আপনাকে নেতানিয়াহু সরকারের কাছে এটিই স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি, অবিলম্বে এবং উল্লেখযোগ্যভাবে মানবিক সহায়তার প্রবেশ প্রসারিত করতে এবং গাজাজুড়ে নিরাপদভাবে সাহায্য বিতরণে ব্যর্থতা গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে, যা বিদ্যমান মার্কিন আইনের অধীনে উল্লেখ করা হয়েছে। সিনেটররা উল্লেখ করেছেন, গাজা উপত্যকায় উদ্ভূত গুরুতর মানবিক বিপর্যয় আধুনিক ইতিহাসে ‘প্রায় অনুপস্থিত’।

ফিলিস্তিনের গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।  এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭২ হাজার ৯০০ জনের বেশি মানুষ। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।