শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির আনন্দ উদযাপনের আতশবাজিতে গাজার রাতের আকাশ আলোকিত হচ্ছে গত শুক্রবার থেকে। একই সঙ্গে তারা দখলদার ইসরায়েলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। খবর: এপি ও আল জাজিরা।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির প্রথম ধাপে এই নারী ও শিশুরা ইসরায়েল থেকে গাজায় ফিরেছেন।
সাঁজোয়া যানের পাহারায় দুটি সাদা কোচে বন্দিদের ওফার সামরিক ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসার পরে পশ্চিম তীরজুড়ে জনতা উল্লাস করেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে এখনও বন্দি রয়েছেন ৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ৩০০ শিশু ও ৭২ জন নারী। তাদের মধ্যে ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে কোনো কারণ ছাড়া বন্দি করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু পর থেকে ৩ হাজার ফিলিস্তিনিকে বন্দি করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ১৪৫ জন শিশু, ৩৭ জন সাংবাদিক।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ১৫ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে মুক্তি পাওয়া ২৪ বছর বয়সী মারাহ বাকির বলেন, আমি খুশি তবে আমার মুক্তি শহিদদের রক্তের মূল্যে এসেছে। কারাগারে আট বছর ধরে থাকা বাকির বলেন, কারাগারের চার দেয়াল থেকে মুক্তি ছিল বিশাল ঘটনা। তিনি পূর্ব জেরুসালেমের বেইট হানিনায় তার পরিবারের বাড়িতে ফিরে আসার পর বলেন, আমি আমার শৈশব এবং আমার কৈশোর কারাগারে কাটিয়েছি, যা আমার বাবা-মা এবং তাদের আলিঙ্গন থেকে অনেক দূরে।
গাজায় যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস ১৩ জন জিম্মিকে ইসরায়েলের হাছে হস্তান্তর করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ মোট ৭৮ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮ বছর বয়সী হানান আল-বারঘৌতি ইসরায়েলি হেফাজত থেকে দুই মাস পর মুক্তি পেয়েছেন। তিনি হামাসের সশস্ত্র শাখার নেতা এবং গাজার জনগণের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে তাদের উত্তম প্রতিদান দিন। যদি গাজার জনগণ না থাকত, আমরা স্বাধীনতা দেখতে পেতাম না। আমরা কারাগারের ভেতরে ছিলাম, নির্যাতন ভোগ করছিলাম। তারা আমাদের অপমান করেছে। তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের জন্য আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি এবং আমাদের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে। এই প্রতিরোধের জন্য অভিনন্দন জানাই।
বন্দিদের মুক্তির আগে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করায় কারাগারের কাছে সাদা ধোঁয়ার মেঘে বাতাস ভরে যায়।