শেয়ার বিজ ডেস্ক অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের নিপীড়ন ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের পাঁচ নাগরিক ও তিন সংস্থার ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইইউয়ের প্রশাসনিক বিভাগ ইউরোপিয়ান কমিশন। খবর: রয়টার্স।
যে পাঁচ ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, সেসব ব্যক্তি ও সংস্থার কর্মীরা ইউরোপের কোনো দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তাছাড়া ইউরোপের কোনো দেশে যদি তাদের সম্পদ থেকে থাকে, সেসবও বাজেয়াপ্ত করা হবে। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেনÑউগ্র ডানপন্থি কর্মী বেনজি গোপস্টেইন ও বারুচ মার্জেল, অ্যাক্টিভিস্ট মোশে শারভিট, জেভি বার ইয়োসেফ ও ইসাচার মান্নে।
তিন সংস্থার মধ্যে দুটি হলো শারভিট ও বার ইয়োসেফের অবৈধ ফাঁড়ি, যথাক্রমে মোশে’স ফার্ম ও জেভি’স ফার্ম নামে পরিচিত অনুমোদন করেছিল। ইসাচার মান্নে পশ্চিম তীরে একটি অবৈধ ফাঁড়ি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা ইইউ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে। আরেকটি সংস্থা হলো টিজাভ ৯। এ সংস্থাটি মূলত একটি কর্মী গোষ্ঠী, যারা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বিতরণের বিরোধিতা করে এবং প্রায়ই সহিংসভাবে নাশকতার চেষ্টা করে।
ইইউয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তি ও সংস্থাগুলো ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে দাঙ্গা-সহিংসতায় উসকানি দিচ্ছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানির প্রবেশে নিয়মিত বাধা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
দিকে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ ইইউয়ের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এমন নিষেধাজ্ঞা অগ্রহণযোগ্য ও বন্ধুত্বের জন্য বড় ধরনের বাধা। ইসরায়েলের ডানপন্থি ব্যক্তি-সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও ইসরায়েল-ইইউর বন্ধুত্বের অপমান করা একই রকম।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ তোয়াক্কা না করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। হামাস নির্মূলের নামে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ করে। উপত্যকাটির উত্তর থেকে দক্ষিণ সব দিক দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব হামলা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু