Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:54 pm

ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামলার প্রয়োজন ছিল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর প্রয়োজন ছিল বলে মনে করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে বলে জানায় হামাস। খবর: আল জাজিরা।

হামাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, হামলায় শুধু ইসরায়েলি সেনা ও সশস্ত্র ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ১৬ পাতার এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে আওয়ার ন্যারেটিভ বা আমাদের বয়ান। প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে চালানো ওই হামলার ব্যাপারে এই প্রথম লিখিত আকারে কিছু প্রকাশ করল হামাস।

এ প্রতিবেদনে আল-আকসা ফ্লাড নামে আকস্মিক ওই হামলার প্রেক্ষাপট ও গতি-প্রকৃতি তুলে ধরেছে হামাস। এতে তারা নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। প্রতিবেদনে গোষ্ঠীটি বলেছে, এ হামলা ছিল প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় স্বাভাবিক এক প্রতিক্রিয়া।

ইসরায়েল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, হামাসের ওই হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জনের প্রাণ গেছে, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৪০ জন। জবাবে একই দিন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই থেকে এখনও তাদের হামলা অব্যাহত রয়েছে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ।

ইসরায়েলের অভিযোগ, ৭ অক্টোবরের হামলার সময় যুদ্ধাপরাধ করেছেন হামাস সদস্যরা। তারা নির্যাতন, ধর্ষণ ও অঙ্গহানি করেছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় চলমান হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি চলছে।

অভিযান শুরু হওয়ার পর গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। সে সময় প্রায় ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় আগে থেকে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি মুক্তি পান।

হামাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হবে। আটক করা হবে ইসরায়েলি সেনাদের। সংগঠনটি মনে করেছিল, এর মধ্য দিয়ে চাপে পড়বে ইসরায়েল। এই সুযোগে দেশটির কারাগারে আটক থাকা হাজারও ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্ত করে আনা যাবে।  হামাসের কাসেম বিগ্রেডের সদস্যরা হামলার সময় বেসামরিক মানুষজনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন। মূলত ধর্মীয় ও নীতিগত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।