শেয়ার বিজ ডেস্কঃ ইসরায়েলের অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১২টি শিশু নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই হামলা চালিয়েছে। যদিও হিজবুল্লাহ এই দাবি অস্বীকার করেছে। তবে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি লেবানন থেকেই ছোড়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ভুলবশত ফুটবল খেলারত শিশুদের ওপর পড়তে পারে বলে সন্দেহ করছে তারা। এই ঘটনার পর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বড় সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।
হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। মাজদাল শামস নামক একটি গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর চার সদস্য নিহত হওয়ার পরই এই হামলা চালানো হলো।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একাধিক শিশু রয়েছে। আর এই হামলা হিজবুল্লাহই চালিয়েছে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যে কোনো ভুল নেই। আমরা কোনোভাবেই চুপ থাকব না ও হিজবুল্লাহকে এর কঠোর জবাব দেব।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলে ফিরে আসছেন তিনি। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলে ফিরে নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এবং হিজবুল্লাহকে এই হামলার জন্য উপযুক্ত জবাব দেবেন। গত শনিবার রাতে লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব হামলা এত বড় ছিল না- যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল। নেতানিয়াহু ইসরায়েলে ফিরে আসার পর বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুই পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে ইরানও হুমকি দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইসরায়েল যদি লেবাননে ‘নতুন অ্যাডভেঞ্চার’ করে তাহলে পরিণতি যা হবে সেটির দায়ভার সব ইসরায়েলের ওপর যাবে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেন। ওই হামলার পর গতকালই ইসরায়েলে কোনো হামলায় একদিনে ১০ জন বা তারও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৯ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।