নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বুড়িগঙ্গার পাড়ে ইসলামবাগ এলাকার প্লাস্টিক কারখানা ও বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের পরিদর্শক বেলাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই আগুনের ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তাদের মধ্যে শামীম নামের একজন রয়েছে। অন্য দুজনের নাম জানা যায়নি।’
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি প্লাস্টিক কারখানায় শনিবার বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে, তা জানা যায়নি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীমুর রশীদ তালুকদার বলেন, ইসলামবাগের টিনশেডের বসতবাড়িতে আগুন লাগে। সেখানে প্লাস্টিকের কারখানা ছিল।
আগুন নেভানোর পর রাতে গুদামে ঢুকে সিঁড়িতে তিনজনের লাশ পাওয়া যায় বলে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান জানান। নিহতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে। অন্য দু’জন নারী ও পুরুষ।
তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনজনই একই পরিবারের বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে পুরান ঢাকার লালবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন আটজন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির সময় এদের প্রত্যেকের অবস্থা গুরুতর ছিল বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
দগ্ধ আটজনকে শনিবার বিকালে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন: সাব্বির (২২), মকবুল হোসেন (৩৫), সবুজ (২০), মারুফ হোসেন (২০), ফারজানা পান্না (২৮), সোনাম উদ্দিন (৫০) ও হজরত আলী (৪৫)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
লালবাগ চৌরাস্তা মোড়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তারা আহত হন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে একটি হোটেল থেকে, যা বিস্ফোরণের কারণে ঘটে। তবে কী কারণে ওই বিস্ফোরণ, তা এখনও জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে গেছেন। বিস্ফোরণের কারণ পরে জানা যাবে।
Add Comment