নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৪৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১ দশমিক ২৫ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনব্যাপী ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৯২৬ শেয়ার ১ হাজার ৯১৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার দর সর্বনিম্ন ৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪০ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে রয়েছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৪ কোটি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬৭০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৪ দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২৬ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৮ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময় ছিল ২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১২ টাকা ৪২ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২৬ পয়সা (ঘাটতি)।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৪ পয়সা (লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪২ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩৮ পয়সা (ঘাটতি)। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এনওসিএফপিএস হয়েছে ১৬ টাকা ৯২ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮৭ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩০ দশমিক ২১ শতাংশ। ফিরক্সি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ, এবি ব্যাংক পিএলসির ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের ২২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২১ দশমিক ৪৩ এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
