নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের রেকর্ড ডেট আজ। এ কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, রেকর্ড ডেটের পরদিন থেকে পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে।
ইসলামিক ফাইন্যান্স: ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে সাড়ে ১৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক টাকা ৮১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা ২৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা সাত পয়সা ও ১২ টাকা ৭৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, ১৬০/এ কাকরাইল, ঢাকায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শেয়ারদর এক দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০ টাকা ১০ পয়সা। ওই দিন ১০ লাখ ৬২ হাজার ৬২টি শেয়ার মোট ৩৯৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওইমেক্স ইলেকট্রোড: প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ নন-কনভার্টেবল প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সাড়ে তিন কোটি প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এছাড়া কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনসাপেক্ষে তা কার্যকর হবে। শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নেওয়ার জন্য আগামী ৬ মে সকাল ৯টায় বিশেষ সাধারণ সভার (ইজিএম) তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে ইজিএমের স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল শেয়ারদর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা এক দশমিক ৪০ শতাংশ। প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয় ৪৩ টাকা ৫০ পয়সায়। লেনদেন শেষে সর্বশেষ দর দাঁড়ায় ৪৩ টাকা ৪০ পয়সা। গতকাল চার লাখ ৫২ হাজার ৩৭৬টি শেয়ার এক কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার টাকায় ৫৯৭ বার হাতবদল হয়। তালিকাভুক্তির পর এ শেয়ারের সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ১২০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৩৯ টাকা ১০ পয়সা।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছর ইপিএস আগের বছরের তুলনায় ১০ পয়সা কমে হয়েছে দুই টাকা ৯ পয়সা। ওই এনএভি হয়েছিল ১৬ টাকা ৯৬ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ছয় কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।