ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারদর ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বা ৬ টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৮৮১টি শেয়ার মোট ৬ হাজার ৩৩৭ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে ওইদিন শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৭১ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির ব্যাংক খাতের কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫ হাজার ৬৭৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৩ দশমিক ২৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২২ পয়সা, আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ইপিএস বেড়েছে ৯ পয়সা। অন্যদিকে চলতি হিসাবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৭৮ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১৩ পয়সা। অন্যদিকে ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ০৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৪ টাকা ৭৯ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৯ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯৫ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৬৩ পয়সা (ঘাটতি)। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৫ টাকা ৬৮ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগের বছর অর্থাৎ এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯৯ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮২ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪১ টাকা ৫২ পয়সা।

এদিকে সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ২৬ দশমিক ২১ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ, গ্রামীণ ওয়ান: স্কি ২ এর ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ফার্স্ট সিকউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক পিএলসির ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ঢাকা ব্যাংক পিএলসির ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০