নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার ও সুলতানা কামালসহ ৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রস্তাব দেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্র ফেরত দিতে হয়, জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয় তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার। বর্তমান আইনে সে ব্যবস্থা নেই। এমন অবস্থায় অনেক রাজনৈতিক দল সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করেনি। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন। সাখাওয়াত হোসেন আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি পথঘাট চেনেন, তিনি শক্তভাবে কাজগুলো করতে পারবেন। তার সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, তিনি আজিজ নন, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। বদিউল আলম মজুমদার ও বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামালের মতো সত্যিকারে সজ্জন ও সাহসী লোকজনদের কমিশনে? আনলে কমিশন কিছুটা বিতর্কমুক্ত থাকবে।’
সার্চ কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তারা নিজেদের সম্পদের হিসাব দেননি। তাদের ওপর মানুষের আস্থা থাকবে কী করে, এমন প্রশ্ন তোলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা যদি ভেবে কাজ করতাম, আমাদের ব্যক্তিত্বের সংকট বলি, দেশের জনগণের কথা বলি, মানুষের কষ্টের কথা বলি, সেরকম কিছু হতো না। আজ কী করে বলছেন সব রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য চাই। ওনারা দু’টি আলাদা জোট, আপনারা তৃতীয় আলাদা একটা জোট করেন। তাহলে বিরোধী দল আলাদা হয়ে যাওয়ার কারণে শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে? বরং ভালো করে বোঝেন, আমরা সেইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, যাতে মূল লড়াইটা দুর্বল না হয়। মূল লড়াই যেন শক্তি পায়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগের আগের ইতিহাস ষড়যন্ত্রের রক্তাক্ত ইতিহাস। তারপরও তারা একইভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মাধ্যমে। এক সময় আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সবাই একচেটিয়াভাবে তাদের সমর্থন করেছিল। সেই শক্তির জোরে তারা রাষ্ট্র, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চালিত প্রশাসনকে দলীয় শক্তিতে পরিণত করেছে। মানুষের ওপর ত্রাস সৃষ্টি করে, দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থনে ফাটল ধরেছে। আওয়ামী লীগ এখন কম্পমান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুন-গুম তো হয়নি। এরা সবাই ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা গেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুম হওয়া লোকদের আমরা পরিবারের কাছে হাজির করব। তাদের কোথা থেকে হাজির করবেন? পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছেন, হয়তোবা সেই ছাই আমাদের সামনে হাজির করবেন।
গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় গণমানুষের দল ছিল, তাদের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু তারা সেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন দুর্বৃত্তের দলে পরিণত হয়েছে।