ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়ন এবার সম্ভব নয়: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ মহামারিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

নতুন ইসি গঠন নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন। তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’

পরদিন সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা জনগণের সঙ্গে ‘ধোঁকাবাজি’।

আইনমন্ত্রী গতকাল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানে যে আইনের কথা বলা হয়েছে, তা করা হবে নাÑআমি এমন কথা বলছি না। কিন্তু কভিড পরিস্থিতি ও সবকিছু মিলিয়ে যেহেতু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সময় ফেব্রুয়ারিতে শেষ হয়ে যাবে, সেহেতু এখন এ আইন করাটা সম্ভব নয়।’

তার মতে, আগে দুবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠিত হওয়ায় ‘প্রক্রিয়াটি অনেকটা আইনের কাছাকাছি’।

আনিসুল হক বলেন, ‘যদিও সার্চ কমিটির গেজেটটা আইন নয়। এটা সবার ঐকমত্যের মাধ্যমে হয়েছিল এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেটা গেজেট করেছিলেন, সেটা কিন্তু আইনের কাছাকাছি।’

তিনি জানান, এ সার্চ কমিটি দিয়ে কয়েকটি নির্বাচন কমিশনের সদস্য মনোনীত করা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘নতুন করে অন্য কোনো কথা বলার আমার মনে হয় অবকাশ নেই।’

সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে। গত এক দশকে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে সর্বশেষ দুই নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সরকারকে। পাঁচ সদস্যের বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০