নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দুই পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথা জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৪ পয়সা, আগের বছরের একইসময়ে ছিল ১১ পয়সা। এদিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ জুলাই বেলা ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ জুন।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৩ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। তাদের মোট আট কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ৫৮২ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪১ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক শূন্য চার শতাংশ ও বাকি ৩৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাত শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১২ পয়সা, আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩২ পয়সা।