নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ মাইনাস’। আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা, আর ২০২২ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ টাকা ০৬ পয়সা।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৬৮ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে আট টাকা ১৪ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৬০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৬৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ, সরকারি ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৪ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৮৭ হাজার ৩২৩ শেয়ার মোট ৭২০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১২১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৫৩ টাকায় হাতবদল হয়।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইস্টার্ন কেবলস। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২২) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৮ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ৫৬ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ টাকা ৩৪ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৪৪ টাকা ৬ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৭ পয়সা (ঘাটতি)।