নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে চার কোটি ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ কোটি ৪২ লাখ সাত হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ শতাংশ বা ১৫১ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ তিন হাজার ১৮০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ছয় হাজার ৭৯২টি শেয়ার মোট ২১৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর তিন হাজার ১৭০ টাকা থেকে তিন হাজার ১৮০ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৯৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে তিন হাজার ১৮০ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস লিমিটেড। জানা গেছে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা আগামী ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
এর আগে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২০ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭৮ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯২ টাকা ৬৩ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ২৩ টাকা ৪৫ পয়সা, ১৮২ টাকা ৭৬ পয়সা ও ১৩৭ টাকা ৪৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানির ৯ লাখ ৯৪ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ১৫ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সরকারি ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৪১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৬৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। ফরচুন শুজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৬ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। পঞ্চম অবস্থানে থাকা রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার লিমিটেডের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের (প্রাণ) ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং ফার্মা এইডস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।