শোবিজ ডেস্ক: কলকাতার মেধাবী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিষিক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ইয়েতির অভিযান’-এ বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। কিছুদিন আগেই শুটিং শেষে সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন মিম। সামনে দুর্গাপূজায় ছবিটি মুক্তি পাবে।
শুটিং শেষে ফেরার পর ‘ইয়েতির অভিযান’-এর নানা বিষয়ে কথা হয় মিমের সঙ্গে। এ ছবিতে যুক্ত হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সৃজিত দা’র সঙ্গে যদিও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ ছিল না; কিন্তু তার অনেক কাজ আমি দেখেছি। আমারও কিছু কাজ উনি হয়তো ইউটিউবে দেখেছেন। পরিচিতি বলতে এটুকুই। গত এপ্রিলের দিকে মুম্বাই থেকে হঠাৎ তার ফোন পেয়েছিলাম। দেখা করলাম। সবকিছু মিলে যাওয়ায় নাম
লেখালাম ছবিতে।’
ছবিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মিম বলেন, ‘অনেক বড় শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি। আর সৃজিত দা তো খুবই জনপ্রিয়। তার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আসলেই অনেক বড় বিষয়। সুযোগটা যেহেতু পেয়েছি, তাই সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। আমার প্রথম সিন দেখেই সৃজিত দা জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, তোমার কাজে আমি খুবই হ্যাপি। আমি এটা কখনই আশা করিনি। এটা আমার জন্য অনেক ভালোলাগার। যতটুকু চিন্তা করেছি, তার চেয়েও বেশি পেয়েছি। সুইজারল্যান্ডে দারুণ সময় কেটেছে টিমের সঙ্গে। যীশু, বুম্বা দা, ফেরদৌস, সৃজিত দাÑসবার সঙ্গে কাজটা উপভোগ করেছি।’
চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই চরিত্রটা দারুণ। সে সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও বটে। তবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে আর অন্যকিছু ভাবিনি। চরিত্রের মধ্যেই ডুবে ছিলাম। আমার জন্য সেকেন্ড টেক নিতে হয়নি। আমার সব সিনই ‘ওকে’ ছিল। এখন ক্যামেরার কাজের জন্য কিংবা সহশিল্পীর কারণে যদি আবার টেক নিতে হয়, সেটা আলাদা বিষয়।’
যৌথ প্রযোজনা নিয়ে নানা জটিলতা চলছে। কিছুদিন আগে আন্দোলন হলো। কয়েক দিন আগে যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে আপনি কী ভাবছেন? এমন প্রশ্নে মিম বলেন, ‘আশা করছি শিগগির এ জটিলতা কেটে যাবে। আমি চাই যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র হোক। অবশ্যই সেটা যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতি মেনে। আর যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রগুলোতে দুই দেশের বিনিয়োগ থাকে বলে বাজেটটাও বেশি থাকে। ফলে কাজটা দেখতেও ভালো লাগে।’
Add Comment