সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্রবিষয়ক কাজ, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যার কর্ম প্রভৃতি নিবন্ধনের কাজ আরও সহজ হবে এবার। কপিরাইট আইনে নিবন্ধনসহ কপিরাইটসংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক কাজ সহজ করে তুলতে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ই-কপিরাইট সেবা।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের এ কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম। কারিগরি সহায়তা দিয়েছে ইউএনডিপি ও ইউএস এইড। বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ও এটুআই প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বুধবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে কপিরাইট সার্টিফিকেট আবেদনের প্রক্রিয়া কেবল রাজধানীর কপিরাইট অফিস থেকে সম্পন্ন করা হতো। ই-কপিরাইট সেবা চালু হওয়ার পর আবেদনকারীর খরচ ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। একই সঙ্গে পাইরেসি ইস্যুতে কাজ করাও সহজ হয়ে যাবে।
সৃজনশীল কাজ নিবন্ধনের জন্যে এখন থেকে সহজে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ওয়েবসাইট www.copyrightoffice.gov.bd এ গিয়ে কপিরাইটের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এরপর স্বয়ংক্রিয় উপায়ে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের পর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এসএমএসের মাধ্যমে নোটিফিকেশন দেওয়া হবে। সবশেষে নির্দিষ্ট তারিখে কপিরাইট সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। ই-সার্টিফিকেট পাওয়ার সুবিধা রয়েছে এখানে। ফলে যে কোনো সময় অনলাইনে সময় যাচাই করা যাবে। কপিরাইট-সংশ্লিষ্ট ফি দেওয়া যাবে এখানে।
ই-কপিরাইট সেবা চালু হওয়ায় কপিরাইটের জন্য আবেদন অনেক বেড়ে যাবে। সৃজনশীল কর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার নিশ্চিত হবে এমনই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Add Comment