Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 4:09 pm

ই-কমার্সের আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরতের ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১ জুলাইয়ের পর থেকে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার উপায় বের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি জানান, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আইসিটি বিভাগ থেকে সব ব্যবসায়ীকে ইউনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেয়া হবে। যারা নিবন্ধন করবে না, তারা ব্যবসা থেকে ‘আউট’ হয়ে যাবে। এ নিবন্ধন করতে কোনো খরচ লাগবে না।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আইনগতভাবে চেক করার জন্য সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্মের (সিএলটিপি) ব্যবস্থা করতে হবে। সেন্ট্রাল ম্যানেজমেন্ট কমপ্লেইন সিস্টেম, কোথাও কারও অভিযোগ থাকলে, এখানে আসবে। আইসিটি বিভাগ আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব করে দেবে। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে তারা ফলোআপ দেবে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘যুবক’ ও ‘ডেসটিনি’র স্থাবর সম্পত্তি আছে, সে সম্পত্তি তারা নিয়ে যেতে পারেনি। কিছু ক্যাশ তারা নিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়ায় সে সম্পত্তি রিলিজ করা গেলে এবং সেটার দাম পাওয়া গেলে, আদালত নির্দেশ দিলে, দেয়া যেতে পারে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অনেক প্রপার্টি বেদখল হয়ে আছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে ই-কমার্সের জন্য নতুন আইনের দরকার হবে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।

তবে ১ জুলাইয়ের আগের পাওনাদারদের বিষয়ে কোনো মন্ত্রীই সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি।

বৈঠকে উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, ৩০ জুন এসক্রো সার্ভিসের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১ জুলাই থেকে যেসব ট্রানজেকশন হয়েছে, সেই ট্রানজেকশনের বিপরীতে টাকা ব্লক করা আছে। যেটা ডেলিভারি হয়নি, সেই টাকাটা পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে কাস্টমার ও টাকার পরিমাণ আইডেন্টিফাইড। সেগুলো আমরা আইনি জটিলতা কাটিয়ে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করব। যেটা এসক্রো অ্যাকাউন্টে আছে, সেটা দেয়া হবে। যে টাকা ই-কমার্স কোম্পানি নিয়ে গেছে, সেটা তো বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই, সেটা তো দিতে পারব না।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার,  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।