বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ও প্রাযুক্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ডেটা সায়েন্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পেশাজীবী টিম তৈরি করছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালিত এলআইসিটি প্রকল্পের সহায়তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমআইএসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ টিম গঠন করা হয়েছে।
৩০ জুন ইজেনারেশনের প্রধান কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ ও সফলভাবে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩০ জনকে সনদপত্র দেওয়া হয়। দেশি ও বিদেশি প্রশিক্ষকদের একটি দল তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। আধুনিক ডেটা সায়েন্স প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে টিমটি বিভিন্ন ডেটা ওয়্যারহাউজিং, ডেটা মডেলিং, ডেটা অ্যানালিটিকস ও ভিজুয়ালাইজেশন-বিষয়ক রিয়েল টাইম প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন ডেটা অ্যানালাইটিকস, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারনেট অব থিংকস (আইওটি) নিয়ে কাজ করা ইজেনারেশন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম, ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান ও নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেটা সায়েন্স অ্যাডভাইজার এ.কে. ফয়েজ উল্লাহ ও ইজেনারেশনের হেড অব অপারেশন এমরান আবদুল্লাহ।
শামীম আহসান বলেন, আইসিটি ডিভিশন ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অংশীদারিত্বে আমরা ডেটা সায়েন্স ও এআই বিষয়ে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন টিম তৈরি করেছি। গত ছয় মাস ধরে এ দলটি সরকারি, ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং, টেলিকম, ফার্মাসিউটিক্যালস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কাজ করেছে। ডিজিটাল যুগে ডেটা হলো নতুন চালিকাশক্তি। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলো যেমন তাদের তেল মজুতের ওপর ভিত্তি করে এগিয়েছে, ঠিক তেমনি অনেকে দাবি করেন ডেটা অ্যানালাইটিকস এবং এআই একই ধরনের প্রভাব ফেলবে। ইজেনারেশনের উদ্দেশ্য হলো পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিজনেস ইন্টেলিজেন্স, ডেটা সায়েন্স ও এআই প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ব্যবসাকে টেকসই করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সহায়তা করা।
এসএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ২০০৩ সালে যাত্রার পর থেকে ইজেনারেশন ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে আসছে। স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরির পরিবেশ, আন্তর্জাতিকভাবে উদীয়মান প্রযুক্তি ও আউটসোর্সিংয়ে ভূমিকা রাখে এমন যে কোনো দক্ষতা উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। নতুন ও উদীয়মান প্রযুক্তিতে পরিবর্তন ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় সুযোগ ও ঝুঁকি তৈরি করে। এ কারণে আগামীর নেতৃত্ব যাতে সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে এবং ঝুঁকি বাড়তে না দেয়, তেমন প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমরা নিশ্চিত, ফাস্ট ট্র্যাক ফিউচার লিডার (এফটিএফএল) গ্র্যাজুয়েটরা নিজ পেশা অর্থবহ ও শ্রেষ্ঠতর করার ক্ষেত্রে প্রেরণা পাবেন।
মো. রেজাউল করিম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো দক্ষ মানবসম্পদের অভাব। তাই এ খাতে কমপক্ষে ৩৪ হাজার দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে এলআইসিটি প্রকল্প। চার হাজার তরুণ আইটি লিডার তৈরি ও তারা যাতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উৎকর্ষ সাধনে কাজ করতে পারে, সেজন্য এ প্রকল্পে স্ট্যান্ডার্ড কারিকুলাম ও সেরা মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রকল্পটি মূল্যায়নের সময় যে প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তার থেকে অনেক ভালো মানের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে ইজেনারেশন।

Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 8:23 pm
ই-জেনারেশনের ডেটা সায়েন্স ও এআই টিম
তথ্য-প্রযুক্তি ♦ প্রকাশ: