নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর গাবতলী ও আশপাশের এলাকার বাস কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার কাউন্টারগুলোতে টিকিট প্রত্যাশীদের তেমন ভিড় দেখা না গেলেও ৭ জুলাইয়ের টিকিট প্রথম দিনই শেষ হয়ে গেছে বলে কাউন্টারকর্মীদের ভাষ্য।
আগামী ১০ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল আজহা হবে ধরে নিয়ে ঈদযাত্রার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তার আগের দুদিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। ফলে ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস থাকছে ৭ জুলাই, সেদিন বিকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ শুরু হবে।
কল্যাণপুরের শ্যামলী এসপি পরিবহনের কাউন্টারে টিকিটের জন্য আসা এককটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি জাকির হাসান জানান, ৭ জুলাই রাতে নওগাঁ যাওয়ার টিকিট কিনতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাউন্টার বা অনলাইনে টিকিট পাননি। কাউন্টারকর্মীরা
‘টিকেট নাই’ বলছে। অনলাইনেও টিকিট কেনার চেষ্টা করছি। কিন্তু পাচ্ছি না। ঈদের আগে অনেক সময় টিকিট পাওয়া যায় সেই আশায় আছি।
জয়পুরহাটগামী বাসের টিকিট নিতে আসা শাহরিয়ার হোসেন ৭ জুলাইয়ের টিকিট কিনতে চাইলেও তাকে কাউন্টার থেকে বলে দেয়া হয়েছে ‘টিকিট নেই’।
টিকিট আটকে রেখে পরে বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা হচ্ছে কি নাÑসেই প্রশ্ন তুলে শাহরিয়ার বলেন, তারা এটা সব সময়ই বলে। প্রথম দিনই সব টিকিট শেষ হয়ে যাবে, এটা বিশ্বাস করার মতো না। টিকিট আটকে রাখে, পরে ঈদের আগে বেশি দামে বিক্রি করে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক সালাম বলেন, টিকিট নেয়ার জন্য যাত্রীদের ভিড় ছিল ভোরবেলায়। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে ৭ ও ৮ তারিখের টিকিট। এ কারণে ওই দুই দিনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনও ৬ তারিখের টিকিট আছে।
অনলাইনেও ঈদযাত্রায় বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ভিড় এড়াতে এসআর পরিবহনে কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তারা সব বিক্রি সারছেন অনলাইনে। টিকেট প্রত্যাশীরা কাউন্টারে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।
এসআর পরিবহনের কাউন্টারের ব্যবস্থাপক রাজিব আহমেদ জানান, খুব ভিড় হয় যা সামলানো কঠিন। তাছাড়া নানা ঝামেলা হয়। এজন্য অনলাইনে দিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে যাত্রীরা টিকিট কিনতে পারবেন।
তবে অনলাইনেও টিকিট পাচ্ছেন না বলে জানালেন কেউ কেউ। এসআর পরিবহনের কাউন্টারে গাইবান্ধা যাওয়ার টিকিট কিনতে আসা আবদুল্লাহ আল মামুন বললেন, সহজ ডটকমের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো টিকিট পাচ্ছি না।
গাবতলীর হানিফ পরিবহনের টিকিট কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় তেমন দেখা যায়নি।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন বলেন, রোজার ঈদের সময়ও তাদের টিকিটের চাহিদা কম ছিল। এবারও তেমন ভিড় দেখা যায়নি। টিকিট বিক্রির প্রথম দিন যে রকম আশা করেছিলাম সে রকম যাত্রী আসেনি। আজ শুধু ৭ তারিখ রাতের টিকিটের চাহিদা ছিল, দিনের টিকিটও বিক্রি হয়েছে।