নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় যাত্রা নির্বিঘœ করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী ঈদযাত্রার সঙ্গে যুক্ত হবে গরুর হাট, পশুবাহী গাড়ি ও বৃষ্টি। ঈদুল ফিতরের চেয়ে ঈদুল আজহায় যাত্রা আরও চ্যালেঞ্জিং। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘২০ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত টোল আদায় হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে প্রথম কিস্তির ৩১৬ কোটি টাকা সরকারের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। আগামী জুনে দ্বিতীয় কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ জমা দেয়া হবে।’
এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে বলে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মস্থলে ফেরার যাত্রাও এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়ক। যানজট নিয়ে জটিলতা ও দুর্ভাবনা এবার একেবারেই কম ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনা তেমন কমেনি। এত সেতু, এত রাস্তা করা হলো, তার পরও এখানে ইতিবাচক অগ্রগতি সেভাবে হচ্ছে না। আমরা হাল ছাড়ছি না। কাজটা চ্যালেঞ্জিং। এটা অতিক্রম করা সম্ভব। এরই মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার সড়কে নিরাপত্তা প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদে সম্মিলিত প্রয়াস ছিল, রাস্তা ছিল ভালো। যে কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। যানজটের দুর্ভাবনা অতীতে যেটা ছিল, এ পর্যন্ত সেটি হয়নি। বিশেষ করে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প এলাকায় যানজটের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটা হয়নি। অনেকটা যানজটমুক্ত ঈদ উদ্্যাপন করতে পেরেছি। সামনের দিনে এ ধারাকে আরও ইতিবাচক করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকসহ সেতু ও সেতু কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।