ঈদুল আজহা ১৮ আগস্ট বাসের, ১৯ আগস্ট ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৮ আগস্ট শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আর ট্রেনের টিকিট মিলবে পরের দিন শনিবার থেকে। অর্থাৎ ১৯ আগস্ট সকাল থেকে। অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ নিশ্চিত করেছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, ১৮ আগস্ট শুক্রবার থেকে সারা দেশে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। নির্ধারিত কাউন্টারে পরিবহনগুলো এসব টিকিট বিক্রি করবে।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার বাস মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহাখালী বাস টার্মিনালে বাসের আগাম টিকিট দেয়ার বাঁধা নিয়ম নেই। যে কোনো কোম্পানি চাইলে যে কোনো সময় আগাম টিকিট বিক্রি করতে পারবে।

এদিকে রেল সূত্র জানিয়েছে, রেলওয়ের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৯ আগস্ট শনিবার থেকে। আর ট্রেন চলাচল শুরু হবে ২৮ আগস্ট। এছাড়া ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে ২৬ আগস্ট থেকে। এ ব্যাপারে আগামী ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার রেলভবন সম্মেলন কক্ষে ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন হক বলেন, ঈদের আগের পাঁচ দিন বিশেষ সার্ভিস পরিচালনা করা হবে। তার ১০ দিন আগে টিকিট বিক্রি শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এবার যাত্রীরা পাঁচ দিনের আগাম টিকিট কিনতে পারবেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবারও দশটি বিশেষ ট্রেন এবং ঈদের দিন চারটি সোলাকিয়া বিশেষ ট্রেন চলবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে একযোগে টিকিট বিক্রি করা হবে।

এছাড়া রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদ উদযাপন শেষে ফেরত যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে, চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। একজন যাত্রীকে প্রতিবারের মতো সর্বাধিক চারটি টিকিট দেয়া হবে।

অপরদিকে জানতে চাইলে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, এবার বাসের আগাম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছি। ঝামেলা এড়াতে এবার কোরবানির ঈদের ১২ দিন আগে থেকেই টিকিট বিক্রি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন তো অনেক পরিবহন অনলাইনে টিকিট বিক্রি করছে। ফলে টিকিট প্রাপ্তিতে ঘরফেরা মানুষের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।