প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ায় বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের মামলায় আইনি সহায়তা না মিললে ঈদের পরদিন থেকে পরিবহন ধর্মঘটের আলটিমেটাম দিয়েছে জেলা মোটর মালিকপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কথা জানান সংগঠনের সভাপতি আবদুল মান্নান আকন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মান্নান আকন্দ বলেন, কয়েক দিন আগে জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের জামিনের জন্য আইনজীবী আসাদ মামলাসংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রসহ আদালতে হাজির হন। ঠিক সেই মুহূর্তে কতিপয় আইনজীবী তাকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন। আইনজীবীদের এরূপ আচরণে আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত মর্মাহত এবং সাধারণ মালিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা নেতারা।
এ সময় নিহত শাহীনকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উপশহরে ১০৪ শতাংশ পুকুর দখল করে একটি স্কুলের কাছে জায়গাটি বিক্রি করে দেয় শাহীন। একজন পরিবহন ব্যবসায়ীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটায় আইনজীবীরা কেন পক্ষ নেবে? তিনি বলেন, এতে পরিবহন ব্যবসায়ীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইনজীবীদের কাছে কি নিরপেক্ষ শব্দের কোনো মূল্যই নেই?
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মান্নান আকন্দ আরও বলেন, এ অবস্থায় আমরা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ জরুরি মিটিং ডেকে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিÑযদি বগুড়া বার সমিতি এরূপ অন্যায় আচরণ থেকে নিজেদের গুটিয়ে না নেয়, তবে আমরা ঈদুল ফিতরের পরদিন থেকে কোনো পরিবহন ব্যবসায়ী ট্রাক, বাস, পিকআপ, সিএনজি, প্রাইভেট গাড়ির শ্রমিকসহ কেউ গাড়ি চালাব না এবং পরিবহন শ্রমিক তার কর্মস্থলে যাবেন না। পরিবহন ব্যবসায় কোনো
অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বগুড়া জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক যৌথ কমিটি এর দায় দায়িত্ব নেবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা শাহীনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।