রুবাইয়াত রিক্তা : রমজান মাস শেষ হতে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবার ঈদের আগে পুঁজিবাজারের শেষ কার্যদিবস। সে হিসেবে আর পাঁচ কার্যদিবস পরেই ঈদের ছুটি। ঈদের পর বাজার আবার শুরু হবে নতুন উদ্যোমে। এ বছর রমজান মাস বাজারে তেমন কোনো চমক না থাকলেও হতাশ করেনি বিনিয়োগকারীদের। মাসের বেশিরভাগ সময় সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। লেনদেনও বেশিরভাগ দিন সন্তোষজনক ছিল।
গতকাল বাজারে লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা। ১৫০ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১১৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬১ কোম্পানির দর। আগের দিন আর্থিক খাত ঘুরে দাঁড়ালেও গতকাল এ খাতে ছিল মন্দা। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের বেশ কিছু কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে। ১০ থেকে ৫০ পয়সা পর্যন্ত দর বেড়েছে কোনো কোনো কোম্পানির। ব্যাংক খাতে দর বাড়ার শীর্ষে ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। এ কোম্পানির দর বেড়েছে ৯০ পয়সা।
গতকাল ডিএসইতে সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্টের বেশি। সূচক ইতিবাচক করতে ভূমিকা রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, জিপি, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা। আর সূচক কমানোয় ভূমিকা ছিল লাফার্জ সুরমা, আইসিবি, বিএটিবিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৩০ কোটি টাকা। মোট লেনদেনে বস্ত্র খাতের অবদান ছিল ২০ শতাংশ বা ৯১ কোটি টাকা। ওষুধ ও রসায়ন খাত ১৩ শতাংশ বা ৫৮ কোটি টাকা, ব্যাংক খাত ১২ শতাংশ বা ৫১ কোটি টাকা, প্রকৌশল ও আর্থিক খাত ১০ শতাংশ করে বা ৪৪ কোটি ও ৪৩ কোটি টাকা। লেনদেন বেশি বেড়েছে যোগাযোগ, সেবা ও আবাসন, সাধারণ বিমা ও পাট খাতে।
লেনদেনে নেতৃত্ব দেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যেÑপ্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ২১ কোটি টাকা, বিডি ফাইন্যান্স প্রায় ১৪ কোটি টাকা, অ্যাপোলো ইস্পাত সাড়ে ১২ কোটি টাকা, নূরানী ডায়িং প্রায় ১২ কোটি টাকা, সাইফ পাওয়ার সাড়ে ১০ কোটি এবং অ্যাগ্রো ডেনিম ১০ কোটি টাকা। দরবৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সাভার রিফ্র্যাক্টরিজ, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, জনতা ইন্স্যুরেন্স, নূরানী ডায়িং ও সোনালী আঁশ। জেড ক্যাটাগরির সাভার রিফ্রাক্টরিজের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৭.৯৯শতাংশ। বি ক্যাটাগরির নর্দার্ন জুটের দর বেড়েছে ৫.২৫ শতাংশ। জেড ক্যাটাগরির জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.২১% বেড়েছে। গত কিছু দিন ধরে জেড ক্যাটাগরির এসব শেয়ারের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই দরবৃদ্ধি বলে দিচ্ছে দুর্বল এসব কোম্পানি নিয়ে খেলা চলছে। না হলে এ কোম্পানিগুলো কীভাবে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসছে। তাই এসব শেয়ার লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক হতে হবে।
গত কয়েক দিন ধরে সূচক ৪ থেকে ৮ পয়েন্ট করে বেড়েছে। রমজানের শেষের দিকে এ বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। বাজারের বর্তমান আচরণ ইঙ্গিত দিচ্ছে ঈদের পরেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বিনিয়োগকারীরাও ছুটি কাটিয়ে নতুন উদ্যোমে লেনদেনে ফিরবেন। ফলে ঈদের পর বাজার চাঙ্গা থাকার সমূহ সম্ভাবনা।