ঈদের শেষ মুহূর্তে জুতার দোকানে কেনাকাটার ঢল

প্রতিনিধি, রাজশাহী : ঈদ উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে জুতার বাজার। প্রতি বছরের মতো, এ বছরও ঈদের আগে বিভিন্ন বয়সের মানুষজনের মধ্যে নতুন জুতা কেনার আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষ করে, শিশু থেকে বয়স্ক সবাই নতুন জুতা কেনার জন্য বাজারে ভিড় করছেন। ফলে, বিক্রেতারা ঈদের এই মৌসুমে বিক্রি বাড়ানোর আশা করছেন।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড ও অব্র্যান্ডেড দোকানে নানা রঙ, ডিজাইন এবং মানের জুতা ক্রেতাদের কাছে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রত্যেকের বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী জুতা বাছাইয়ের সুযোগ থাকায়, ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো জুতা কিনতে পারছেন।

বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে অন্য সময়ের প্রায় চারগুণ। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য দোকানগুলো নানা ধরনের ছাড় ও অফার ঘোষণা করছে। অনেকে অনলাইনেও জুতা কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন, যেখানে তারা বাসায় বসেই নানা অফার ও ডিজাইন পর্যালোচনা করে পছন্দের জুতা অর্ডার করতে পারছেন।

তবে, বিক্রেতাদের মতে, এ বছর জুতার দামে সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া গেছে। এর প্রধান কারণ হলো উৎপাদন খরচ এবং আমদানি খরচের বৃদ্ধি। এরপরও, ঈদের উৎসবের আনন্দে অংশ নিতে ক্রেতারা এই বাড়তি খরচ মেনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে, ঈদের আগে জুতার বাজারে চলছে জমজমাট কেনাবেচা। এই সময়ে শপিংমল ও বাজারগুলোতে জুতা কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিড় ঈদের আনন্দকে আরও বৃদ্ধি করছে।

বাজার বিক্রেতারা বলছেন, এবারের ঈদে প্রতিটি পণ্যেরই দাম বেড়েছে। ক্রয়মূল্য ও উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে এসব পণ্য মানের দিক দিয়েও ভালো। এবারের ঈদে জুতা-সেন্ডেলগুলোর রংবেরঙের নতুন বেশকিছু ডিজাইন পাওয়া যাচ্ছে। এসব ডিজাইনের পণ্যের দিকে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা। তবে গতবারের তুলনায় জুতার দাম বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। দামের তারতম্যের কারণে অনেকেই পছন্দের পাদুকা কিনতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন।

ক্রেতা মাহফুজ রহমান বলেন, এবারের ঈদে প্রতিটি পণ্যেরই দাম বেড়েছে। নগরীর জুতা দোকানে রং-বেরঙের ডিজাইন থাকে। কিন্তু দাম বেশি।

ক্রেতা সানজিদা হোসেন জানান, শোরুমগুলোতে বেশি দামের কারণে ঘুরে এসেছি। এখন নরমাল দোকানগুলোতে যাচ্ছি। কিন্তু এখানেও স্বস্তি নেই। তবে যেহেতু ঈদ। জুতা তো কিনতেই হবে।

বাটা শো-রুমের তৃপ্তি নামে এক কর্মী জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা মূল্যছাড় দিচ্ছেন। বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে।

লোটো শোরুমের আউটলেট ইনচার্জ জাভেদ হোসেন বলেন, ঈদে প্রতি বছরই বেচাবিক্রি ভালো হয়। এবারও বেশি। তবে আমাদের দাম খুব বেশি বাড়েনি। রমজানের শেষ দিকে চলে আসায় সন্ধ্যার সময় অনেক ভিড় হয়। যেহেতু গ্রীষ্মকাল তাই কেডসের চেয়ে সেন্ডেল জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের মাঝে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০