রফিক মজিদ, শেরপুর: ঈদ পেরিয়ে গেছে ৪ দিন আগে। তারপরও শেরপুর-ঢাকা রুটসহ শেরপুর থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাত্রীবাহী বাস ভাড়া দ্বিগুণ নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী সাধারণ। তারা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে তারা তিনগুণ ভাড়া দিয়ে ঈদ কাটাতে ঢাকা থেকে শেরপুর এলেও ৪ দিন পর তাদের কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে আরেক দফা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে। ফলে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। বিশেষ করে নিন্ম আয়ের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে যাত্রী সাধারণ। শেরপুর-ঢাকা এবং শেরপুর থেকে রংপুর, বগুড়া, যশোহর, খুলনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলায় চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসে এখনও দ্বিগুণ টাকা ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। ঈদের ২-৩ দিন আগে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে ঈদ করতে আসা এসব যাত্রী সাধারণ এক দফা ৩ গুণ ভাড়া দিয়ে ঈদ করতে এলেও ঈদ শেষে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরতে আবারও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ঈদ শেষে দিনের বেলায় শেরপুর থেকে ঢাকা যেতে যানজটের কবল থেকে মুক্ত হতে যাত্রী সাধারণ এখন খুব একটা দিনের বেলায় বাসে ঢাকামুখী হন না। তারা গেটলক সার্ভিসে নাইট কোচে চলাচল করেন বেশি। এসব বাস শহরের রঘুনাথ বাজার থানা মোড় থেকে নিউমার্কেট মোড়ের মেইন সড়কের ওপর রাত ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত যাত্রা করে থাকে। শহরের ওই স্থানে প্রায় অর্ধশত বাসের টিকিট রাস্তার পাশের কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হয়। ফলে ঈদ শেষে ঢাকামুখী যাত্রীরা ভিড় করেন ওইসব কাউন্টারে। এ সুযোগে ওইসব কাউন্টারের বাস মালিকরা ইচ্ছে মতো ভাড়া নিয়ে থাকেন যাত্রীদের কাছ থেকে।
একজন বাস ডাইভার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মূলত শেরপুর-ঢাকার বাস ভাড়া ৪৫০ টাকা কিন্তু তারা স্বভাবিকভাবে নিয়ে থাকেন ৪০০ টাকা। সে হিসাবে মাত্র ১৫০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে মাত্র।
এছাড়া একজন বাস মালিকও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কথা স্বীকার করে দাবি করেন, তেল ও গাড়ির চাকাসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির কারণে সামান্য বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে। এছাড়া তাদের এখন অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ঢাকা গিয়ে আবার ফিরতি ট্রিপে যাত্রীবিহীন আসতে হচ্ছে।
এদিকে ঈদের চারদিন পরও কেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছেÑএ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ছানু অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।