নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজার ঈদ ঘিরে এবার ১৪ দিন দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। পাশাপাশি ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ভারি যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী।
ঈদযাত্রায় যাত্রী ভোগান্তি কমাতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে সাত দিন ও পরে সাত দিন সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এবার রোজায় সরকারের পক্ষ থেকে বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিবারই কয়েক দিনের জন্য ওই নিয়ম শিথিল করে সব সময় গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে এবারও ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানানো হবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গামেন্ট সামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।’
‘বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঈদের সময় যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বা যাত্রী পরিবহন বন্ধে এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে এ দলগুলো সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে কাজ করবে।’
‘ঈদযাত্রায় জটিলতা এড়াতে এবারও পোশাক কারখানাগুলোকে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে ঈদের পর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কারখানার খোলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কাঁচপুর, গাজীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এসব এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দিলে যানজটের চাপ কমতে পারে। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সরকারিভাবে ঈদুল ফিতরের ছুটি ২৫ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ২৬ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে।