নিজস্ব প্রতিবেদক: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আসন্ন ঈদযাত্রায় সড়ক ও নৌ-পরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এআই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান এমএস সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া, আব্দুল হামিদ শরীফ, অধ্যাপক হাসিনা বেগম ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তারা বলেন, এ বছর ঈদুল ফিতর উদ্যাপনে ৮০ থেকে ৯০ লাখ মানুষ রাজধানী ঢাকা থেকে দেশব্যাপী ঘরমুখী যাত্রা করবে, যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। মাত্র পাঁচ দিনে এত বিপুলসংখ্যক যাত্রী সুষ্ঠুভাবে পরিবহন করার মতো যানবাহন আমাদের নেই। ফলে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার যানবাহনের সংকট ও নৈরাজ্য বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অতি ধীরগতিতে সংস্কার ও সড়ক প্রশস্তকরণ কাজের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশের অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কের বহু স্থানেও বেহাল দশা রয়েছে। ফলে ঈদযাত্রায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে।
এ নাজুক অবস্থায় সড়কে ও নৌপথের ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে, যা ঈদযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলবে। এরই মধ্যে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সড়ক ও নৌপথে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, শুধু ঈদ মৌসুমেই কয়েক হাজার কোটি টাকার রাজনৈতিক চাঁদাবাজি হয়। দুর্ভাগ্যজনক যে, এসব চাঁদাবাজির সঙ্গে অনেক পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা থাকে। মূলত চাঁদাবাজির কারণেই সড়ক ও নৌ-পরিবহনের শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে এবং সড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
চাঁদার বিনিময়ে নদীতে ট্রলার ও ডিঙি নৌকায় যাত্রী পারাপার, সড়কে পিকআপ ভ্যান ও ছোট ছোট ট্রাকে যাত্রী বহন, মহাসড়কে অননুমোদিত যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ে। হতাহত হয় বহু মানুষ। সেজন্য এবারের ঈদযাত্রার শুরুতেই চাঁদাবাজি বন্ধ করে যানবাহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিষয়টি সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে হবে। এ ব্যবস্থা ঈদের ফিরতি যাত্রা পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে। তা না হলে এবার পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
নেতারা বলেন, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, ঈদযাত্রার শুরুতে সড়ক ও নৌ-পরিবহন পরিচালনা কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে ভাড়া নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধের নানা প্রতিশ্রæতি দেয়া হলেও ঈদযাত্রার শুরুতেই সবকিছু ভেঙে পড়েছে। ফলে মানুষকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু এবার যেন আগের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নেতা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহŸান জানান।
ঈদে ৯০ লাখ মানুষের যাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের দাবি
