ঈদ আসন্ন, তবু ব্যস্ততা নেই ফেনীর কামারপাড়ায়

প্রতিনিধি, ফেনী: বৈশ্বিক মহামারি কভিড-১৯-এর কারণে গত বছরের মতো এবারও ব্যস্ততা নেই কামারপাড়ায়।

সারাবছর অনেকটা বেকার থাকলেও কামার শিল্পীরা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কর্মচাঞ্চল্য হয়ে পড়েন। এ ঈদ ঘিরে তাদের সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত থাকে। তবে মহামারির কারণে সারাদেশে ঈদের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত কঠোর লকডাউন থাকায় হতাশায় নিমজ্জিত ছিল এসব কামাররা।

তবে ঈদের এক সপ্তাহ আগে বিধিনিষেধ শিথিল করায় তারা নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করলেও তা হয়তো অধরা থেকে যাবে।

প্রতি বছর এ সময় গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে অনেকটা হিমশিম খেতে হলেও এ বছর ঈদ প্রায় ঘনিয়ে এলেও কাজের খুব একটা চাপ নেই বলে জানান কর্মকাররা। অন্যদিকে বাজারে কোরবানির কাজে ব্যবহƒত আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকায় অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন হাতে তৈরি সরঞ্জাম থেকে।

একদিকে আয়-রোজগার কম, অন্যদিকে লোহা ও কয়লাসহ শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধিতে অনেকটা হতাশায় দিন কাটছে কামার শিল্পীদের।

এরই মধ্যে ফেনীর অনেকে ছেড়েছেন এ পেশা। অনেকে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফেনীর কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তারানিবাস কমপ্লেক্সের দোকানি পলাশ কর্মকার বলেন, প্রতি বছর এ সময় সারা রাত জেগে কাজ করেও গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হতো, কিন্তু চলতি বছর সেই ব্যস্ততা নেই।

কোরবানির জন্য দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতির পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও মানুষের খুব একটা দেখা মিলছে না, যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই নতুন সরঞ্জাম না কিনে পুরোনো সরঞ্জামে শান দিচ্ছেন বলে জানান পলাশ।

দক্ষিণ আতিয়ার কর্মকার লক্ষ্মণ মজুমদার বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর কাজের চাপ অনেকটাই কমে গেছে। মূলত  কোরবানির ঈদের দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে থেকেই মানুষের মাঝে কোরবানির কাজে ব্যবহƒত যন্ত্রপাতি কেনা কিংবা তৈরিতে তোড়জোড় শুরু হয় বলে জানান তিনি। তবে চলতি বছর ঈদের আগের সপ্তাহ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন থাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় কেউ অর্ডার দিতে পারেননি আর কর্মকারদের কাজ করারও সুযোগ হয়নি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০