প্রতিনিধি,রাজবাড়ী : পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদ্্যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই তারা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরি পার হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।
আজ বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সাথে কিছুটা যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। তাতেও ভোগান্তিতে পড়তে হবে না যাত্রী ও পরিবহন চালকদের, দাবি ঘাট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদ শেষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিয়ে তারা কর্মস্থলে ফিরছেন। তবে ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহনের সারি বা জট নেই। যাত্রী ও যানবাহনের তেমন চাপ না থাকলেও বেশিরভাগই আসছে মোটরসাইকেল যাত্রী
মিজানুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ উদ্্যাপন শেষে এখন কর্মস্থলে ফিরছি। প্রতিবছর যেমন দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগে পড়তে হতো, এবার সেই দুর্ভোগ নেই। তবে মহাসড়কে যানবাহনগুলোতে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। তাছাড়া এবার ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তির ছিল।
জাহিদুর রহমান বাবু নামে অপর এক যাত্রী বলেন, এ বছর ঈদ করতে বাড়িতে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি; আবার ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতেও কোনো ভোগান্তি নেই। ঘাটে এসেও এবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আজ বুধবার সকালে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। তবে ঘাট এলাকায় যানবাহনের কোনো সিরিয়াল নেই। স্বস্তিতেই মানুষ ফেরি পার হতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় ১১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাকিগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেলে ফেরিগুলো চালাচল শুরু করবে।
ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ, ভোগান্তি নেই দৌলতদিয়া ঘাটে
