নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য যোগাযোগ জরুরি। উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হচ্ছে কার্যকরী যোগাযোগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) সভায় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সভায় কাক্সিক্ষত হারে এডিপি বাস্তবায়ন না হওয়ার বিভিন্ন কারণ আলোচনার সময় কোনো কোনো কর্মকর্তার উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য বিদেশে যাওয়ার কারণে যে শূন্যতা তৈরি হয় তা পূরণের ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে। এ প্রসঙ্গের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। বিদেশে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য কর্মকর্তা পাঠানোর আগে সেখানকার সিলেবাসে কী কী বিষয় আছে এবং দেশের জন্য কোনগুলো উপযোগী তা বিবেচনায় রাখতে হবে। শুধু পিএইচডি অর্জন করাই শেষ কথা নয়, অর্জনের পরে দেশের জন্য কীভাবে সেবা দেবেন, সেবার মান কীভাবে বাড়ানো যায় তা আপনাকেই বের করতে হবে।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৫টি প্রকল্পের অনকূলে এক হাজার ৭৩৯ দশমিক ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব সংস্থার মধ্যে বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ২৬টি প্রকল্পের অনুকূলে এক হাজার ৪৫১ দশমিক ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট এডিপি বরাদ্দের ৮৩ শতাংশ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে মোট ৬৯৫টি দরপত্র আহ্বানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ৭৭টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং ২০টি দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। শ্যামপুরে স্থাপিত ল্যাবরেটরি আধুনিকায়নের উদ্দেশ্যে একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ২৭ দশমিক ৫২ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতা বাড়ান: কৃষিমন্ত্রী
