উচ্চ করহার মোবাইল শিল্পে অন্তরায়: জিএসএমএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে মোবাইল শিল্পে উচ্চ করহারকে এই শিল্পের জন্য বাধা বলে মনে করছে মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের মোবাইল শিল্প নিয়ে সাম্প্রতিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন জিএসএমএ’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের হেড অব পাবলিক পলিসি ইমানুয়েলা লেচি।
তিনি বলেন, টেলিকম খাতে অন্যান্য খাতের চেয়ে করহার বেশি। এটি প্রভাব ফেলে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। গ্রাহকরা যদি মোবাইলে ১০০ টাকা খরচ করে, তার মধ্যে ৫১ দশমিক ৭৫ শতাংশই সরকারের কাছে কর হিসেবে চলে যায়।
ইমানুয়েলা লেচি আরও বলেন, বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানিতে ২৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এটি বেশি। এতে একদিকে স্বল্প আয়ের মানুষ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়ছেন। থ্রিজি ও ফোরজি গ্রাহক বাড়াতে হলে মোবাইল ফোনে করের হার কমাতে হবে।
জিএসএমএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে তরঙ্গ মূল্য বেশি। এ মূল্য কমানো হলে গ্রাহকরা আরও ভালো মানের সেবা পাবে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব টিআইএম নুরুল কবির বলেন, তরঙ্গের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ মানুষ বেসিক ফোন ব্যবহার করছে, আর স্মার্টফোন ব্যবহার করছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। তার মধ্যে ফোরজি এনাবল সেট মাত্র ১৫ শতাংশ। দেশে আগামীতে ফোরজি বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমদানিতে ২৫ শতাংশ কর থাকায় তা প্রসার পাচ্ছে না।
উচ্চ করহার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে নুরুল কবির মোবাইল শিল্পে কর কাঠামো যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান ও গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কালামসহ অপারেটরদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০