গতকালের পর)
লবণ ভেজে খাওয়া যাবে: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খাবারে বাড়তি লবণের ব্যবহারে বারণ। উচ্চ রক্তচাপের রোগীর দৈনিক এক চামচের বেশি লবণ খাওয়া ঠিক নয়। অনেকের ধারণা, কাঁচা লবণ নিষেধ তো লবণ ভেজে বা টেলে খাওয়া যাবে। আসলে লবণ যেভাবেই খান, উচ্চ রক্তচাপ বাড়াবেই।
তেঁতুল গুলে খেলে রক্তচাপ কমে: রক্তচাপের পরিমাণ বেশি দেখলে কেউ কেউ পানিতে তেঁতুল গুলে খান বা টক খান। এতে রক্তচাপ কমে না। বরং লবণ মিশিয়ে এসব খেলে রক্তচাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। তার ওপর হতে পারে গ্যাস।
রক্তচাপ স্বাভাবিক, ওষুধ কেন চলবে: বাড়িতে বা দোকানে গিয়ে রক্তচাপ মেপে দেখলেন স্বাভাবিক। একটু নিচের দিকেই। কেউ হয়তো বলল, আপনি তবে কেন শুধু শুধু ওষুধ খাবেন? এটি গুরুতর ভুল। কোনো কারণে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে না গেলে (৯০/৬০ মিমি পারদের কম) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ বন্ধ করা ঠিক নয়। উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, এমনকি জীবন ঝুঁকিতেও পড়তে পারে।
রক্তচাপ বাড়তি, তবে ওষুধ বাড়িয়ে খাবেন: আবার উল্টোটাও হতে পারে। কাউকে দিয়ে রক্তচাপ মাপিয়ে দেখলেন একটু বাড়তির দিকে। অমনি নিজে নিজে ওষুধ বাড়িয়ে নিলেন, এক বেলার জায়গায় দুই বেলা খেয়ে নিলেন বা মাত্রা দ্বিগুণ করে নিলেন। এটাও ভুল। বিভিন্ন কারণে একদিন রক্তচাপ বাড়তেই পারে। তাই বলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধের মাত্রা নিজে নিজে বাড়ানো ঠিক নয়।
ওর ওষুধ খুব ভালো: উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বন্ধু, স্বজন বা পরিবারের কারও ব্যবস্থাপত্র দেখে ওষুধ খান। অমুকের ওই ওষুধে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে বলে আমার জন্যও এটি প্রযোজ্য, তা নাও হতে পারে। কোনো ওষুধ আপনার জন্য প্রযোজ্য, তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। আনুষঙ্গিক হাঁপানি, ডায়াবেটিস, হƒদরোগ বা অন্য কোনো রোগ থাকলে সে অনুযায়ীই হবে আপনার ওষুধের ধরন। সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ নির্বাচন করতে হবে।
ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ