Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 11:21 pm

উত্তরাধিকারীদের মধ্যে উদ্যোক্তার শেয়ার বণ্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র খাতের কোম্পানি তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক উদ্যোক্তা তসরিফা আহমেদের নামে থাকা শেয়ার তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে। (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, তসরিফা আহমেদ ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় তার কাছে কোম্পানির মোট চার লাখ ৬৩ হাজার ৭৮৫ শেয়ার ছিল। কোর্টের আদেশক্রমে ওই শেয়ার তার উত্তরাধিকারী উদ্যোক্তা সাইদ হাসানের কাছে হস্তান্তর সম্পন্ন হয়েছে।

সম্প্রতি তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে  কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১২ পয়সা, আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮৮ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস কনভেনশন সেন্টারে, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর গত বছরের তুলনায় এ বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭২ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময় ছিল ১১ পয়সা। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে ৮৩ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৯৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৫২ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৬৭ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ২৬ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৩৫ হাজার ৩৯৯ শেয়ার ২২৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর আট টাকা থেকে ২৩ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৬ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১০২ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।