নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর উত্তরার কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও বারে কাদের যাতায়াত ছিল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো গোয়েন্দা কর্মকর্তা কিংবা অন্য কাদের যাতায়াত ছিল সেখানে, সে বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।’ গতকাল শুক্রবার মিন্টো রোডের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের কিংফিশার রেস্টুরেন্ট ও বারে অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগ। এ সময় জব্দ করা হয় ছয় হাজারের বেশি বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বেশিরভাগই সেই বারের কর্মচারী। ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মাদক মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আবু সালেহ (৩৮), মো. মোহন (২১), মুকুল (৪০), মো. সিব্বির আহম্মেদ (২৫), রাসেল (২৪), আবুল কাসেম মিন্টু (৪২), নাহিদ দারিয়া (২০), শান্ত ইসলাম (২২), আলিম উদ্দিন (২৪), জালাল উদ্দিন (৩২), সাজ্জাদ হোসেন (২৭), রহমত আলী (২৫), খালেক সাইফুল্লাহ (২৭), ইমরান (৩৯), মো. সাহান শেখ (২৪), মো. মোফাজ্জেল (৫০), ওবায়েদ মজুমদার (২৪), ইবাদত খান (৩২), রাইস উদ্দিন (২৫), রায়হান (২১), মো. রুবেল (২৮), রিফাত (১৮), ফয়সাল (২২), শরিফুল ইসলাম (১৮), রাসেল (১৮), জাহিদ হাসান (১৮), রওশন জামিল রাসেল (৩০), হুমায়ুন কবির (২৫), তোফাজ্জেল হোসেন (২০), মো. রিয়াদ হোসেন (২৪), আল আমিন (৩১), কাইয়ুম (২২), নয়ন দাস (২৮), শাওন দাস (২২) ও মাহমুদুল হাসান (২১)।
ডিবিপ্রধান বলেন, সেখান থেকে পাঁচ হাজার ৪০০ বিয়ার এবং প্রায় ছয়শ’র মতো বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ উদ্ধার করা হয়। ভবনের ছয়, সাত ও আটতলা থেকে এসব মদ উদ্ধার করা হয়। তবে এসব মদের বৈধ কোনো কাগজপত্র গোয়েন্দাদের দেখাতে পারেনি তারা। যদি আমদানি করা হয়, তাহলে কাস্টমসের কাগজপত্র থাকবে। কাস্টমস থেকে এসেছে, নাকি পর্যটন থেকে এসেছেÑকোনো ধরনের কাগজ তারা দেখাতে পারেনি।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, ওই বাসায় শত শত ছেলে-মেয়ে অবৈধভাবে গান-বাজনা ও নাচানাচির পার্টি করে। এসবের অনুমতিও তারা সংশ্লিষ্ট থানা থেকে নেয়নি। সেই বারের কাগজপত্রগুলো আমরা চাইব। এরপর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান গোয়েন্দা বিভাগের এই কর্মকর্তা।