শেয়ার বিজ ডেস্ক:ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে বিরোধ নিরসনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন নতুন একটি চুক্তি করতে একমত হয়েছেন। দাবি করা হচ্ছে, ‘উইন্ডসর ফ্রেমওয়ার্ক’ নামের নতুন এ চুক্তি-উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধাগুলো দূর করবে ও ইইউয়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করবে। খবর: বিবিসি, রয়টার্স।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার পশ্চিম লন্ডনের একটি হোটেলে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুরা ফন ডার লিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সুনাক। বৈঠক শেষে উইন্ডসরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সুনাক ও ফন ডার লিন।
সে সময় ঋষি সুনাক বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্য নিয়ম সহজ করার বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। এটা আমাদের সম্পর্কের নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা।
আয়ারল্যান্ড আলাদা একটি রাষ্ট্র হলেও উত্তর আয়ারল্যান্ড এখনও যুক্তরাজ্যের অংশ। আয়ারল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে নিবিড় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। তবে আয়ারল্যান্ড ইইউর সদস্য হওয়ায় একক বাণিজ্যনীতি মেনে চলে।
ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য বাণিজ্যনীতি কী হবে এবং দুই আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত নির্ধারিত হবে কি না। সীমান্ত নির্ধারিত হলে সেটা আবার ১৯৯৮ সালে হওয়া যে শান্তিচুক্তি-উত্তর আয়ারল্যান্ডে দীর্ঘ তিন দশকের সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক সহিংসতার অবসান ঘটিয়েছিল, সেটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
রয়টার্স বলছে, উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিষয়ে ইইউর সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে পারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাকের বড় একটি অর্জন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও চার মাস আগে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় আসা সুনাক ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপসের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে আগ্রহী বলে মনে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর আয়ারল্যান্ডের
বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে নতুন চুক্তি ঋষি সুনাকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ
তার দল কনজারভেটিভ পার্টিই ব্রেক্সিটের পক্ষে বেশি প্রচার চালিয়েছে। তাই ইইউর সঙ্গে সমঝোতার এ সম্পর্ক কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদের পছন্দ নাও হতে পারে।