শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ায় গত দুই সপ্তাহে ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১৭ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে তারা কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই চীনা কর্তৃপক্ষ এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। খবর: দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।
উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে চীনের বন্দরনগরী ডালিয়ানে প্রায় ৭৫ লাখ বাসিন্দার এক দিন অন্তর করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন জানায়, করোনা পরীক্ষায় অভিনব পদ্ধতি নিয়েছে তারা। মঙ্গলবার শুধু নারী, বৃহস্পতিবার পুরুষ ও শনিবার প্রয়োজনে সবার পরীক্ষা করা হবে। লিঙ্গভেদে করোনা পরীক্ষায় প্রশাসনের যুক্তি, ছোট পরিবারে একজন করে নারী ও একজন করে পুরুষ থাকেন বলে ধরে নেয়া হয়। লিঙ্গভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে একই পরিবারে সংক্রমণের বিষয়টির ওপর নিবিড় নজর রাখা যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া বিদেশ থেকে সংক্রমণ ঠেকাতে উত্তর চীনের আরেক বন্দরনগরী তিয়ানজিনের সাবওয়ে আংশিক বন্ধ রাখা হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে শুরু থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চীন। সম্প্রতি ৬৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ায় রাজধানী বেইজিংয়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় উত্তর কোরিয়ায় সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তারা। অভিযোগ উঠেছে, সংক্রমণ ঠেকাতে অতিরিক্ত রাসায়নিক জীবাণুনাশক ব্যবহার করছে চীনের প্রশাসন।
জিরো কভিড পলিসি নিয়েছিল উত্তর কোরিয়াও। দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল। অভ্যন্তরেও কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে গত (১১ মে) বুধবার প্রথমবারের মতো কভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হলেও দেশটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে ২ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ জনের বেশি মানুষের শরীরে কভিডের উপসর্গ দেখা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত) সে দেশে নতুন করে কভিডে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ পরিস্থিতিতে দ্রুত ও যথাযথভাবে যেন সেবা দেয়া যায়, সেজন্য সামরিক বাহিনীর চিকিৎসকদলকে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।