Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 8:39 pm

উত্থানেও আগ্রহ শুধু চার খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন বেড়ে ৮০০ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। এদিন উত্থানেও মাত্র চার খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল। ফলে আলোচ্য খাতগুলোতে দর বেড়েছে। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতে। ফলে এ খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীদের বিমুখ ও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল আইটি খাতে। ফলে আলোচ্য খাতটিতে শুধু দর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৩৯টির দর বেড়েছে এবং ১৩টির দর কমেছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। খাতটিতে শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত। গতকাল টেলিকমিউনিকেশন, সিরামিক, প্রকৌশলী, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, মিউচুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন, ব্যাংক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় আইটি খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। শেয়ারদর কমায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাত। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত।

অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫৭ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

ডিএসইর তথ্য মতে, মঙ্গলবার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩১৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৯টির। বিপরীতে কমেছে ৮৫টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১১ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৯ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে।

এদিন ৩১৪টি কোম্পানির ১৪ কোটি ৯৬ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে; যা টাকার অঙ্কে ৮১১ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩৪ কোটি ৬১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অর্থাৎ লেনদেন আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিক হোটেল শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার। এরপরের তালিকায় ছিল, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, মেঘনা লাইফ ইন্সু্যুরেন্স, রূপালী লাইফ, ইস্টার্ন হাউজিং, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ১৬ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ৫৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির দাম।

দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার ৩৬৮ টাকার শেয়ার।