উত্থানেও তিন খাতে বিমুখ বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে সব সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অন্যদিকে উত্থানেও শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল তিন খাতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারে। ফলে এ খাতটিতে শেয়ারদর বেশি কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৭টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় সেবা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। এরপর রয়েছে আইটি খাতের শেয়ার। খাতটিতে ১ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ

লেনদেন হয়েছে। ১১ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৫৫৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৭৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২০২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭২টি এবং কমেছে ৪৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৯৫টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ২৬টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৬টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১২ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫৩ দশমিক ৭০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৩ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক শূন্য ৫৩ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪০২ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৫১ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০