নিজস্ব প্রতিবেদক: সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়ে ৯০০ কোটি টাকা পেরিয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল।
গতকাল পাট খাতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রয় চাপ বেশি ছিল। ফলে শুধু আলোচিত খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারে। এতে খাতটির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এরপর দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিমেন্ট খাতের শেয়ার। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ এবং জীবন বিমা খাত।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সেবা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া সব শেয়ারের দর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিমেন্ট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট সাতটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দর বেড়েছে, দুটির কমেছে এবং চারটি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে কাগজ খাত তৃতীয় স্থানে ছিল। এ খাতে লেনদেনে ছয়টি কোম্পানির মধ্যে তিনটির দর বেড়েছে এবং দুটির অপরিবর্তিত ছিল। চতুর্থ স্থানে থাকা জীবন বিমা খাতে দর বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, সিরামিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিন পাট খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ। অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাত ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিবিধ খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হওয়া প্রকৌশল খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
গতকাল ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৮২ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৭২ পয়েন্টে ও ২২১৫ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৯০০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা বা ২৬ শতাংশ বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। ডিএসইতে ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ১১৯টির বা ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশের, কমেছে ৬৮টির বা ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশের এবং ১৮৬টির বা ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫৩০ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ৩৭টির এবং ১০৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।